বড় লোকের অহংকারি মেয়ে পর্ব -29+30


বড় লোকের অহংকারি মেয়ে
২৯ তম পর্ব

বড় লোকের অহংকারী মেয়ে

২৮ তম পর্বের পর থেকে

আমার কাছ থেকে সানজিদাকে কেরে নিয়েছেন,,তার ও,, মাশুল আমি নিবো,, আপনাকে ভুজাবো,,যে, ভালোবাসা কেরে নিলে কেমন লাগে,,,,

ভাইয়া ভাইয়া কি ভাবতাছো,,(মিষ্টি)

হ্যা, মানে,,না,,মানে,, ওহহহ,কিছুনা আপু,,,আসো আমার কাছে,,,

মিষ্টি আমার কাছে,,আসলো,,আমি,, আমার ছোট বোন কে কুলে তুলে নিলাম,,,,আর,,কপালে একটা চুমু দিলাম,,,
আজ থেকে না,,আমার এই বোন কে অনেক আদর করবো (আমি)

মিষ্টি আমাকে, চুম্মা দিলো,,আমি না আজ থেতে তোমার কাছে,,থাকবো,,,(মিষ্টি)

হুম আপু থাকবে,,,(আমি)

মিষ্টি তুমি কি তাহলে তুমার এই ভাবির কাছে থাকবেনা (বর্ষা)

তুমি যদি আমার ভাইয়ারর সাথে থাকো, তাহলে তো আমি ও তোমারর কাছে থাকতে পারবো (মিষ্টি)

আমি যে তুমার ভাইয়ার সাথেই থাকবে (বর্ষা)

তাহলে আমি তোমার কাছে ও থাকবো,,(মিষ্টি)

আচ্ছা থাকবে,,(বর্ষা)

আজকে,, আমি আমার,, হারিয়ে যাওয়া ছেলেকে খুজে পেয়েছি,,, আজ আমি অনেক খুশি,,,
কিন্ত,,আপা,(মা)

আমি তো মনে হয় আপনার কাছ থেকে,,কতো বড় দামি কিছু একটা কেরে নিলাম,,,আমাকে মাপ করবেন তার জন্য,,(আমার মা কান্না করে, বলিল,,মাকে,,)

ছি ছি, কি বলছেন এগুলা,,,আর,,
জনি,আমি যখন পেয়েছি, তার পর থেকে,, লালন পালন করছি,,,

আর জনি,,অনেক ভালো,,আমি জনিকে,,যে ভাবে শিক্ষা দিয়েছি,,,তাই মতো চলতো,জনি,,
কারো কোন সময়,,কোন অন্যায় করতো না,,কারো ওপর অত্যাচার করতো না,,

আমি অনেক সময় না থেয়ে থেকে, জনিকে খায়িয়েছি,,,,

জনি, যখন বুজতে শিখে,,তখন থেকে, আমার সাথে কোন রকম খারাপ, আচরন,,খারাপ কথা বলা,,কোন কিছু করে নাই,
আমাকে বাচাতে,,অনেক কষ্ট সয্য করছে জনি,,,
আমাকে বাচাতে,,কতোটা আঘাত,কতো কিছু সয্য জনি,, করছে তার পর আমাকে বাচিয়েছে,,,(বর্ষার মা)

আচ্ছা এইযে বর্ষা,, আমার ছেলের বউ,,,ওর মা কে তাহলে,,(মা)

বর্ষা আমার মেয়ে,,( বর্ষার মা)

আমি তো কিছুই ভুজতাছি,না,,(আমার মা)

আচ্ছা বলতাছি, আপনাকে,,,

আমার আর বর্ষার বাবার কোন এক কারনে,,ঝগড়া হয়,,
তখন রাগের কারনে,,বর্ষার বাবা,আমাকে,,-------------------------আপনারা তো জানেনি,,তাই আর বললাম না???

কি তাহলে,, আমার আমার ছেলের বউ,,আপনার মেয়ে,,(মা)

হুম,,,কিন্তু এখন তো, সে আপনারো মেয়ে,, (মা)

হুম। , বর্ষার ও এখন আমার মেয়ে,,,

আমার মেয়েকে আর, ছেলেকে,,আপনারা দেখে রাখবেন,,(মা)

হুম। রাখবো,,তো বিয়ান,,,, কিন্তু,, আপনি কোন সময়,,কান্নি করবেন না,,,

আমার ছেলেকে,,আপনি,, অনেক ভালো শিক্ষা দিয়েছেন,,
জানের কিছুদিন আগে, জনি আমাকে রক্ত দিয়ে প্রাঁন

বাচিয়েছে,,,তখন কিন্তু আমি চিনতাম না জনিকে,,

আরেক দিন জনি,, আমার মেয়েকে,, অপর্না কে,,একসিডেন্ট এর হাত থেকে বাচিয়েছে,,,

আপনার মতো,, যেনো মা,আরো এই দুনিয়াতে থাকে,,,(আমার মা)

তাই নাকি আমি কিন্তু এগুরা জানতাম না,,,

আমার সকর কথা গুলো,,দুই আম্মু,, সেগুলো নিয়ে কথা বলতাছে,,

আমি পাইছি দুটো আম্মু,,
যারা আমাকে প্রাঁনের চেয়ে বেশি ভালবাসে,,,

আমি আজ অনেক সুখি,,,
আজ খেকে আমার দুটো মা,,
যখন তখন যে কোন বাড়িতে থাকতে পারমু,,,

আমার বড় আপুর কাছে আমি গেলাম,,,

গিয়ে আপুর পাশে বসলাম,,,,

আপু এখনো কান্না করতাছে,,
জানিনা কি জন্য কান্না করতাছে,,,
কিন্তু আমি সিয়র,,,
যে এটা দুঃখের কান্না নয়,,সুখের কান্না,,, যে ভাইয়ের জন্য,,,এতোটা বছর কান্না করে আসছে,, তাকে আজ খুজে পেয়েছে,,

আমি আপুর কাদের ওপর হাত রাখলাম,,

আপু আমাকে দেখে,,
আমাকে জরিয়ে দরলো,,

আমি আপুকে,, আমার বুকের ভিতর নিলাম,,

কোন দিন আমি বোনের ভালবাসা পাইনি,,
আজ আমি আমার নিজের বোনের কাছে আছি,,,

আপু আমার বুকেতে,,,এসে কান্না করতাছে,,,আর বলতাছে,,

ভাই তুমি,, আগে কেনো বললেনা,,আমার হারিয়ে যাওয়া তুমি সেই,,ভাই,,(আপু)

শক্ত করে জরিয়ে দরে বলিলাম,,,।আপু আমিও তো জানতাম না,,যে আমি তোমার সেই হারিযে যাওয়া ভাই।,আর আজ থেকে,,,তোমাদের আর কান্না করতে হবে না,,আমি তো ফিরে এসেছি,,,আমি এখন মা,, বাবা,,,তুমি,,মিষ্টি সাবাইকে দেখে রাখবো,(আমি)

হুম রে ভাই,,জানিস,,,তোকে হারিয়ে মা পাগর এর মতো হয়ে গেছিলো,,(আপু)

আজ দেখ তাকিয়ে,, কতোটা খুশি লাগতাছে , বাবা ও তোকে দেখে খুশি হবে,,(আপু)

আপু ভাইয়া,,তুমরা দুজনে,, পচা, ভাবি শুধু আমাকে,, আদর করে,, তোমরা করো না,(মিষ্টি)
আপু মিষ্টি কে,কাছে নিয়ে,,আমাকে, আর মিষ্টিকে,,দুজনের কপারে চুম্মা দিলো,,,
এখন হয়েছে,,,

হুম আপু,,হয়েছে,,,(মিষ্টি)

বর্ষা তুমি এখানে আসো,(আপু)

জি আপু,,(বর্ষা)
বসো,,এখানে,(আপু)
জি আপু,,
বর্ষা তখন আমার পাশে বসলো,,

আমি সকল কিছু শুনেছি,,জনির কাছ থেকে,,,

আর কোন সময় না কারো সাথে কোন খারাপ কিছু করবেনা কেমন,(আপু)

জি আপু,, আমাকে মাপ করে দিয় যেনো,,জনি,,তার জন্য ভুজাবেন জনিকে,,,জনিকে,,,কান্না করে,দিয়ে(বর্ষা)

ছি কান্না করতে নেই,,,কেমন,,,

হুম আপু,,(বর্ষা)

তারপর সকলে মিলে, আরো,,অনেক কথা বললো,,,

আমার ছেলে,,আমার মেয়ে,, দুজনের সাথে,, আমি বিয়ে দিয়েছি,,,,আপনাদের না জানিয়ে,,তার জন্য আমাকে মাপ করবেন,,(মা)

কি যে বলেন না,,,আপনি অনেক ভালো কাজ করছেন,,,,আপনি যে
তাহলে,, বিয়ান আমার,,(আমার মা)

হুম, আপনিও তো তাহলে আমার বিয়ান,,(মা)

হুম চলেন তাহলে,,,খাবার রেড়ি,,আর আপনারা ও অনেক সময় হলো আসছেন,,, কিছু খাবেন,(আমার মা)

হুম চলেন তাহলে,(মা)
মা আমাকে আর সবাই কে খাবার টেবিলে আসতে বলিলো,,,
আমারা সবাই খাবার জন্য গেলাম,,,

খাবার পর,,

মায়ের কাছে, জাই,,(আগের মা)

আমি মায়ের কাছে গিয়ে জরিয়ে ধরি,,,

আর মায়ের বুকে,,কান্না করে দেই আমি,,,

দুর বোকা ছেলে,,,কান্না করতাছিস কেনো,,আর তোর যখন ইচ্ছা তখন তুই জাবি,,আমার কাছে,,আর আমার মেয়ে ও তো তোর কাছে থাকবে,,,

আমি মায়ের বুকে,,,কান্না করতেই লাগলাম,,,

বাবা কেদো না,,,তাহলে যে আমিও কান্না করে দিবো,,(মা)

আমি তখন থেমে গেলাম,,,
মা আমি না তোমাকে ছারা যে থাকতে পারবো না,,আর তুমাকে না দেখলে যে আমার ভাললাগেনা,,(আমি)
দুর বোকা,,তুই যখন ইচ্ছা আমার কাছে জাবি,,কেমন,,,মা ও কান্না করে,বলিলো,,

আচ্ছা মা আমি কিন্তু দিনে অনেকবার জাবো,,তোমার কাছে(আমি)
হুম বাবা(মা)

------------------ -------------------

কয়েক দিন পর,,,

জনি তুমি আমার সাথে কেনো ভালো করে কথা বলোনা,,আমাকে কেনো ভালবাসোনা,,,আমাকে কেনো,তুমার বুকে নিয়ে ঘুমাও না,,,(বর্ষা)

সব কিছুর উত্তর একটাই,,,আমি।যে আপনাকে ভালবাসি না,(আমি)

কেনো কেনো কেনো,,,কি কররলে ভালবাসবে,,,(বর্ষা))

কিছু করলেই না,, আর,আপনাকে কোন দিন ও ভালবাসবো না,,(আমি)

বর্ষা তখন আমাকে জরিয়ে দরে,,
আমি তোমাকে যে অনেক ভালবাসি এখন,,,তাহলে কেনো,,আমাকে তুমি ভুজনা ,,, আমি কি চাই তোমার কাছে কেনো,,জানতে চাও না , ভুজতে চাও না,,
আমি যে তোমার ভালোবাসা,, পেতে চাই, আমার মন প্রান যে তোমার ভালোবাসা পেতে চায়, (বর্ষা)

আমাকে ছারেন,,আর সরেন তো আপনার কোন কথা আমার শুনতে মন চায় না,,,(আমি)

নেশার ঔষধ খায়ানোর পর থেকে,, দেখতাছি, তুমি একদম আমার কাছে আসা বন্দ করে দিছো,,,
দেখ আমি তো সেদিন, আমার স্বামির
ভারোবাসা পাওয়ার জন্য করছি,,(বর্ষা)

খুব ভালো তো ভালো,,এখন সরেন,,তো,,,,
আর আমি মায়ের কাছে জাবো,,মাকে দেখতে খুব ইচ্ছা করতাছে,,আপনি যদি জেতে চান তাহলে রেড়ি হন,(আমি)

আচ্ছা, জাবো,, এখনি হইতাছি,,,,
তারপর বর্ষা রেড়ি হতে গেলো,,

মা আমি না,, মায়ের কাছে গেলাম,,,আর বর্ষা ও জাবে,,,

হুম বাবা যাও,,আর বিয়ান কে আসতে বলবা,,কথা আছে,তার সাথে(মা)

ওকে আসতে বলমু নি,,,(আমি)

তারপর আপুর রুমে,, গেলাম,,
দেখি আপু বসে আছে,,,
আপু ভাইয়া কি ফোন দিয়াছিলো,,(আমি)

হুম ভাই,,তোর দুলাভাই ফোন করছিলো,,

বাবা আর,, তোর দুলাভাই,, কয়েক দিন পর,,, দেশে আসবে,,(আপু)

সত্যি আপু,,,
উম্মা,

আপু,,, আপু আমি না,, ওই মার কাছে গেলাম,,,কেমন,,(আমি)

-
হুম ভাই যা, আর বর্ষা কে নিয়ে জা,,, তুই তো প্রায় দিনে কয়েকবার জাস,,বর্ষা তো জায় না,,তাই নিয়ে যা, আর আসার সময় রেখে আসবি বর্ষা কে,,কেননা,,সেখানে যে বর্ষার মা একা,,(আপু)

হুম আপু,, আসবোনি,,কেমন,,জাই তাহলে আর মিষ্টি কে নিয়ে গেলাম,,(আমি)

ওকে যা, (আপু)

আমি বেরিয়ে দেখি বর্ষা, আর মিষ্টি দুজনে,, আমার সামনে দাড়িয়ে আছে,,,,

চলো ভাইয়া তাহলে,,,(মিষ্টি)

আপু তুমি কখন রেড়ি হলে(আমি)

তুমি তো পচা,,,ভাবি আমাকে রেড়ি হতে বলিলো,,তাই তো হলাম,,

ওকে তাহলে চলো,,,

তারপর গাড়ি টার কাছে গেলাম,,,তারপর,,, আমি গাড়ি চালাতে লাগলাম,,
মিষ্টি বর্ষা পিছনে,, বসছে,,,

গাড়ি থামালাম,,এসে পড়েছি,,গাড়ি থেকে নেমে পড়লাম,,
বর্ষা মিষ্টি নামলো,,

আমি দৌড় দিয়া মায়ের কাছে গেলাম,,

আর মাকে জরিয়ে দরলাম,,,

-
বোকা ছেলে,,, আমার,,, দৌড় দেওয়ার সময় যদি পদে যাস তাহলে,, (মা)

কিছু হবেনা,,তুমি আছোনা,, আদর করে দিবে,,ভালো হয়ে জাবো,,(আমি)

বর্ষা তখন ভিতরে আসে,,বর্ষা মাকে, গিয়ে জরিয়ে দরে,,,আরো অনেক কথা বলতে থাকে,,,

মা তখন মিষ্টিকে দেখে,,আর মা গিয়ে মিষ্টিতে,,, দরে,,আর বলে,,
তুমি কেমন আছো,,(মা)
হুম ভালো আছি,,,,,আপনি,(মিষ্টি)

মা তখন মিষ্টিকে, জরিয়ে দরে,বলে ভাল আছি চলো তাহলে ভিতরে,,,

সবাই ভিতরে জায়,,আমিও জাই,,,

এ বাড়িতে আসলেই,,সানজিদার কথা মনে পড়ে,,

সানজিদা কে দেখিনা কতো দিন হলো,,,

আচ্ছা সানজিদা কি আমাকে ছারা ভালো আছে,,নাকি ভালো নেই,,,

সানজিদা এমন কেনো করতাছে আমার সাথে,,,
না না,,অপর্না আপু সানজিদাকে চিনে, আপুকে সাথে করে নিয়ে গিয়ে,,, কথা বলমু,, সানজিদার সাথে,,
সানজিদা কেনে আমার সাথে এমন করে,,তা আমাকে জানতেই হবে,,,(আমি এগুলাা বভবতাছি,)

বর্ষা, জনি,,,, শোন, তোমাদের একটা খুশির সংবাত আছে,,(মা)

তাই নাকি,, কি, খুশির খবর,(বর্ষা)

বর্ষা,, তোমার ভাই,,,অন্তর,, কালকে,, লন্ডন থেকে,,বাংলাদেশে আসবে,,(মা)

তাই নাকি মা,,,তাহরে তো,,অনেক ভালো, খবর,,,,(বর্ষা)

হুম রে মা,, আমাকে আজ সকালে ফোন করে,, জানালো,,,তোমাকে, আর, জনিকে,,,এয়ারপোট এ যেতে বলেছে,,,অন্তর,(মা)

হুম মা জাবো,,(বর্ষা)

ওকে,, কাল ১ টা সময়,,টেকআপ করবে,,বিমান,,(মা)

ওকে মা,,(বর্ষা)

--------------- ----+----

আমি --বর্ষা,,,,মা,,মিষ্টি,,চারজন,,বসে আছি,,,হযরত শাহ জালাল বিমান বন্দর,,,

বাবা আসতে পারে নাই,,,কাজের জন্য,,,

মায়ের হাতে, অন্তর দিয়ে লেখা,,,সেটা নিয়ে দাড়িয়ে আছে, আমরা, মায়ে সাথে দাড়িয়ে আছি,,,

কোন এক জন ছেলে এসে,,মা কে জরিয়ে দরলো,,,
আর মাকে জরিয়ে দরে কান্না করতে লাগলো,,
মা ও কান্না করতাছে,,,
তার মানে এটাই অন্তর, বর্ষার ভাই,,,মায়ের ছেলে,,(

অন্তর মাকে দরে, কান্না করতেই আছে।
জানো মা, আমি ভেবেই নিয়েছিলাম যে,,,তোমাকে আর কোন দিন দেখতে পাবো না,,তুমি চলে জাবার পর তোমাকে কতো খুজেছি,,জানো,,
(অন্তর)

হুম বাবা এখন তো আমি আছি, আর বাসায় চলো,,কেমন,,(মা)

হুম মা(অন্তর বর্ষার ভাই)

আপু তুউ কেমন আছোস,,(অন্তর)

হুম ভাই ভালো,,তুমি কেমন আছো,,আর বিদেশে গিয়ে আমাকে তো ভুলেই গেছো,,(বর্ষা)

না আপু ভুলি নাই,,,(অন্তর)
জানি তো মাসে একবার মাত্র ফোন করতা তাহলে কেনো,,,,
আর শুনো,,এ হলো,,জনি,,আমার স্বামি,,(বর্ষা)

হাই,,, জনি কেমমন আছো,,আমি তোমাকে দেখছি,, তাই বললাম,,বর্ষা তোমার ছবি দিয়েছিলো,,তাই, (অন্তর)
ভালো ভাইয়া তুমি কেমন,(আমি)
হুম ভালো,,আর তোমাকে অনেক ধন্য বাধ আমার মাকে তুমি বাচিয়েছো,,তার জন্য,(অন্তর,)
আরে এখানে কেনো কথা বলতাছি বাসায় গিয়ে বলি কেমন,,
তারপন বাসায় আসার জন্য আসতে লাগলাম,,

বাসায় এসে,,,অন্তর আবার মাকে,, তার বাবা কে দরে অনেক কান্নি কাটি করতাছে,,,,

অনেক কথা বললাম অন্তর এর সাথে,,,

তারপর, আমি মিষ্টিকে বর্ষার কাছে রেখে,,,বাড়িতে চলেআসলাম।।কেননা মিষ্টির স্কুল, সেখান খেকে কাছে,,১ মিনিট সময় লাগে,,, তাই রেখে আসলাম,,

বাবা মিষ্টি কে রেখে অনেক ভালো করছো,,,সেখান থেকে কিছুদিন স্কুল করুক,,,যতদিন,, বর্ষা সেখানে থাকে(মা)

হুম মা,,
তারপর আমি

আপুর কাছে জাই,,,

আপু,,
ভাই আসছো,,,এসো,,,
তারপর আপুর কাছে গেলাম,,

আপু একটা কথা বলি,,(আমি)
আমার কাছে কথা বলতে অনুমতি লাগবেনা বলো,,(আপু)

আপু সানজিদার সাথে,,দেখা করবো,,তুমি আমার সাথে যাবে চলো,,,
আর আমি যদি সানজিদার সাথে কথা বা দেখা করি, তাহলে,, সানজিদা মরা মুক দেখতে হবে,,তাই তুমি কথা বলবে,,,আর সেই কথা ফিরিয়ে নিবে,,,তারপর আমি সানজিদার সাথে কথা বলবো প্লিজ আপু,,(আমি)

হুম ঠিক আছে তাহলে আজ বিকারে জাবো,,,(আপু)
সত্যি,, ওম্মা আপু,,ওম্মা(আমি)
ওম্মা,ভাই,,,

এখন বসে আছি সানজিদার বাসাতে,,
সানজিদা আমাদের কাছে আসাতে আমি গুরে গেলাম,,

সানজিদা আমার দিকে তাকিয়ে তারপর আপুর কাছে গেলো,,তারপর আপু সানজিদা দুজনে,কথা বলতে লাগলো,,

সানজিদা তার কথা আমার ওপর থেকে তুরে নিলো,,,,

জনি তোমাকে,,
যে কথা বলমু,,সেটা শুনে রাগ করো না,,,

তখন সানজিদা যে কথা বললো,,কথাটা শুনে আমার পায়ের তলা থেকে মনে হয়ে,, সব কিছু,, সরে গেলো
আমি অবাক হয়ে গেলাম, সানজিদা কি কথা শুনালে আমাকে

বড় লোকের অহংকারি মেয়ে
৩০ তম পর্ব
২৯ তম পর্বের পর থেকে

তখন সানজিদা যে কথা বললো,,কথাটা শুনে আমার পায়ের তলা থেকে মনে হয়ে,, সব কিছু,, সরে গেলো
আমি অবাক হয়ে গেলাম, সানজিদা কি কথা শুনালে আমাকে,,

কি বলতাছো কি,, সানজিদা,,,এটা হয় না,,,আর তুমি তো আমাকে ভালোবাসে,,,তাহলে,,, (আমি)

জনি বিশ্বাস করো,,এতদিন যদি তোমার সাথে আমি, ভালো মতো,, কথা বলতাম,,,আগের মতো চলাফেরা করতাম তাহলে,,,যে একটা জিবন নষ্ট হয়ে যেতো,,, আর আমি সেটা তো চাই না,,,(সানজিদা)

কেন কেন কেন চাও না,,(আমি)

দেখো জনি,,,,যেদিন তুমার আর বর্ষার বিয়ে,, সেদিন বর্ষা আমার তাছে আসে,,,আর,,, আমাকে,,, বলে যে,,, যদি,, আমি তোমার সাথে,, আজকের পর থেকে ভালো মতো কথা বলা,,,চলাফেরা,,, তোমাকে ভালবাসা,,,এগুলো,,যেনো না করি,,,

আর বলছে যে যদি আমি তুমাকে,,, বর্ষা আর তোমার বিয়ের পর,,,, কোন রকম যোগাযোগ করি,,, তাহলে,,,বর্ষা সেখানেই,,,,আত্নহত্যা করবে,,,আমি আমার বন্দুতে,,কেমনে মরতে দেই বলো,,তাই তো তোমার সাথে আমি এতদিন খারাপ আচরন করছি, আর বর্ষা তোমাকে এখন অনেক ভালবাসে,,,,আসি জানি তুমি বর্ষা কে মেনে নাও নাই,,,প্লিজ বর্ষা কে মেনে নাও,,,,,(সানজিদা)

আমি কোন দিনও মেনে নিবো না বর্ষা কে,,(আমি)

জনি আমার কসম,, তুমি বর্ষা কে মেনে নাও,,,আর,,, দেখো,,,কয়েকদিন পর,,, আমার ও যে বিয়ে,,, তাই বলছি তুমি বর্ষা কেম মেনে নিয়ে সুখি হয়,,(সানজিদা)

কি আবুল তাবুল কথা বলো তোমার বিয়ে,,,আর আমি যে তোমাকে ছারা থাকতে পারি না,, আজ তুমি কেনো এই কথা বলতাছো,,,কোন কারনে,, বলতাছো,, (আমি)

দেখো জনি,,,আমি বলতে বাধ্য হইতাছা,,,কেননা,, আমার বিয়ে, যে আমার বাবা,, সেই ছোট বেলা থেকে ঠিক বকরে রেখেছে,,,আর সেটা আমি জানতাম না,,,আর,,,তার সাথে আমার কিছুদিন পর বিয়ে,,,কিন্তু বিশ্বাস করো, আমি ও যে তোমাকে অনেক ভালবাসি,,,আমি ও যে ভালোমতো থাকতে পারি না,,,কিন্তু দেখো,, তুমি ,ঠিক একদিন না একদিন আমাকে ভুলে জাবে,,, আমি ও একদিন না একদিন ভুলে জাবো তোমাকে,(সানজিদা)

ভুলে,, যাবো তাও তোমাতে,,তুমি এটা কেমন বললা,,,,,,,,,আর তুমিতো মনে হয় এখন ভালোই আছো,,,অযথা,, এই কথা গুলো মনে হয় আমাকে বললা,,,,
হুম ভালো থাকো তুমি ভালো,,থাকো,,,।কিন্তু তুমি আমকে ভুলে গেলেউ আমি যে কোন দিন তোমাকে ভুলতে পারবো না, ভালো থেকো,(আমি)
এটা বলে,,,আপুকে সাথে করে নিয়ে চলর আসলাম,, সানজজিদাদের বাড়ি থেকে,,,,
খুব কষ্ট হচ্ছে,,,,সানজিদা ও আমার সাথে এমন করলো,,কেনো,,

ভাই দেখ তুই মন খারাপ করিস না,,দুই বর্ষা কে আপন করে নে,,,সানজিদা

রো তো কিছুদিন পর বিয়ে,,,আমার মনে হয় কি জানিস,,সানজিদার বাবা আগেই সানজিদার বিয়ে ঠিক করে রেখেছে,,,আর,,,, সানজিদা, সেটা জানতো না,,
তুই ভাবেক,,যে,,সানজিদা আর তুই যখন প্রেম করতি,,তখন,,,সানজিদা কিন্তু তোকে অনেক ভালবাসতো,,এখনো ভাসে,,কিন্তু সেটা প্রকাশ করলো,, তো আজ,,,

কিন্তু সানজিদা এটা চায় যে,, তুই জাতে ভালো থাকিস,,,,তাই বলতাছি,,, বর্ষা কে মেনে নিয়ে,, ভালো মতো,, সংসার কর,,(আপু)

আমি আপুতে জরিয়ে দরে কান্না করতে লাগলাম,,,

ভাই কাদিস না,,,দেখিস একদিন সব ঠিক হয়ে জাবে,,,

কেমনে ঠিক হবে,,আপু,, বর্ষা যে খুব। অহংকারি এবং খুব রাগি,,আর একটা বাজে মেয়ে,,,

ছি এমব বলতে নেই,, রে ভাই,(আপু)

বাসায় এসে পডেছি,,,নে আর কিন্তু কান্না করা জাবে না,,হাসো একটু,, (আপু)
আমি আপুকে দরে,,, বাসার ভিতরে, গেলাম,,আপু আমার রুমে এসে,, বলিলো,,,
জাও ভাই গিয়ে, একটু ফ্রেশ হও,কেমন, আমি,ও ফ্রেশ হই গিয়ে,,(আপু বলে চলে গেলো আপুর রুমে,,)

আমি,, ফ্রেশ না হয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লাম,,,
সানজিদা তুমি আমার সাথে এমন কেনো করলা,,,তুমি আগে আমাকে এই কথা টা বলতে পারতা,,,,,। আমি যে তোমাকে ছারা ভালো থাকতে পারবো না,,,আর আমি তোমাকে ছারা কেমনে ভালো থাকিব,,,

কি ভাই তুমি শুয়ে আছো কেনো,,যাও বলছি,,,ফ্রেশ হয়ে আসো,,,তারপর দুজনে মিলে খাবো,,,(আপূ(

আমি তখন ফ্রেশ।হতে গেলাম,,,

তারপর আসলাম।।

ভাই আর মন খারাপ করো না কেমন,,,তাহলে যে,, আমি মা,, সবাই কষ্ট পাবে,, সেটা কি তুমি চাও,(আপ)

আমি মাথা নারিয়ে না করলামম,

হুম তাহলে আসো,,,এখন কেমন, দুজনে মিলে খাবার খাবো,,,(আপু)

হুম আপু চলো,,তাহলে,,

তারপর আপু আর আমি খাবার খেত গেলাম,,

আপু আমাকে খাইয়ে দিতাছে ,,,,
আর আমি খাচ্ছি,,

খায়ার পর,,
ভাই আর কিন্তু মন খারাপ করবে না,,,যাও এখন গিয়ে বিশ্বাম করো,,(আপু)

হুম আপু, আমি এটা বলে,,মায়ের রুমে গেলাম,,গিয়ে দেখি,,মা,, ঘুমিয়ে আছে,,,আমি দিরে দিরে,, মার কাছে জাই,,আর মাকে গিয়ে জরিয়ে ধরে,,, আর মায়ের বুকে গিয়ে,, একটু,, ঘুমাতে চেষ্টা করি,,,।

একা ঘুমালে,,সানজিদার কথা মনে,পড়তো,,,তাই,মায়ের বুকে, আসলাম,,এখন কতোটা ভালো লাগতাছে,,মায়ের বুকে,,, থেকে,,

জানিনা কখন ঘুমিয়েছি,,,
যখন ঘুম ভাঙ্গে আমার তখন দেখি,, মা আমার। চুলে বিলি কেটে দিতাছে,,,

আমি তখন মাকে শক্ত করে জরিয়ে দরি,
তুমার বুকে কতোদিন ঘুমাই না,,আজ ঘুমিয়ে কতোটা,,, ভালো লাগতাছে,(আমি)

মা আমাকে শক্ত করে জরিয়ে দরে,,

দুর বোকা এখন তো মাকে পেয়েছিস,,, যখন ইচ্ছা তখন,, ঘুমাবি,,,(মা)

হুম মা,,,

আরো অনেক ক্ষন মায়ের কাছে থাকলাম,,তারপর,, ওঠলাম,,

বাবা যা,, গিয়ে,,,মিষ্টি,, বর্ষা,,বিয়ান কে দেখে আসো,,(মা)

হুম মা জাইতাছি,,,
তারপর,,

আরেক মা এর কাছে গেলাম,,,

বর্ষা দের বাড়িতে আসলাম,,

বর্ষার ওপর,, আমার এখন অনেক রাগ,,,,কেনো,, বর্ষা সেদিন,, সানজিদাকে বলরো,,যদি বিয়েটা না হয় আত্নহত্তা করবে,,,

বাড়ির ভিতর গেলাম,,

মায়ে র রুমে গেলাম,, দেখি মা বসে আছে,,,

আমি গিয়ে মাকে জরিয়ে দরি,,,

মা,, আমি আসছি,,(আমি)

হুম বাবা,, ভালো করছিস,,,এখন গিয়ে,,,ফ্রেশ হও,,কেমন,(মা)

ওকে,,
তারপর রুমে আসলাম,,,
।রুমে এসে দেখি,, বর্ষা,,আর মিষ্টি খেলা করতাছে,,,
আমাককে মিষ্টি দেখে আমার কাছে আসলো,,
ভাইয়া, (মিষ্টি)

হুম আপু ,,,, কি করো এখন,(আমি)

এইতো আমি আর ভাবি,, খেলতাছিলাম,,(মিষ্টি)

হুম,, ভালো ওকে তাহলে খেলো,,কেমন,,(আমি)

তারপর আমি ওয়াশরুমে গেলাম।।

তারপর ফ্রেশ হয়ে বাহির হই,,,দেখি,

বর্ষা হাতে তুয়ালে নিয়ে দাড়িয়ে আছে,,মিষ্টিকে রুমে দেখতাছিনা,,মনে হয়,,অন্য রুমে গেছে,,

আসো তুমাকে,,, মুছে দিতাছি,,

এটা বলে,,সোজা আমার কাছে আসলো,,আর আমারর শরির মুছতে লাগলো,,,(বর্ষা)

আপনার মুছতে হবে না,,আমি নিজেই পারি,,,এটা বলে,,,আমি,, বর্ষার কাছ থেকে তোয়ালে টা নিলাম,, তারপর মুছতে লাগলাম।।
তারপর মুছা শেষে,,

বর্ষা তখন আমার কাছে আসলো,,
এসে আমাকে জরিয়ে দরলো,

আমি বর্ষা কে আমার কাছ থেকে ছারালাম,,,

কি হচ্ছেটা কি,,

আবার আমাকে জরিয়ে দরলো,,,আর,, দরে,,আমার ঠুঁটে চুমু দিলো,,,,,,আমি তখন, বর্ষা কে ছারালাম,,, কি করতাছেন টা,, কি,,,সরেন,,(আমি)

চুপ একদম চুপ,,,তুমি তো আমাকে ভালবাসনা,, তাই,,আমি না হয় ভালবাসসা আদায় করি,,এটা বলে আবার আমাকে জরিয়ে দরে,,ঠোঁটে চুমু দিলো,,,,,

আমি তখন বর্ষা কে ছারিয়ে,,,
ঠাস ঠাস করে কয়েটা চড় মারলাম।।

আপনি কি পেয়েছেন টা কি,,যখন,,,,,,,,,,,, 





Tags:


LoveStory, বাংলা গল্প, প্রেমের কাহিনী, গল্প সাহিত্য, অনলাইন গল্প, বাংলা অসমাপ্ত গল্প, bangla story, online story, GetStory, GetStory.tk , Story Land, গল্পের শহর, writeryou, বড় লোকের অহংকারী মেয়ে পার্ট ২৯+৩০

বড় লোকের অহংকারী মেয়ে পর্ব ২৯+৩০

Post a Comment

Thanks for Reading 💞💞

Previous Post Next Post